পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো......

বেলার তিন বছরের সংসারে যেন এগারোটা মাস ধরে নতুন এক স্বর্গের হাওয়া এসে লেগেছে, এক নূর এসে আলোকিত করেছে পুরো বাড়ি... এগারো মাসের ফুটুফুটে বাচ্চাটার দিকে তাকালে দুনিয়া ভুলে যাওয়া যায় অতি সহজেই.... ক'দিন হল নতুন এক সমস্যা.... কান্না শুরু করলে থামতে চায়না.... হয় বাইরে নয়তো ছাদে নিয়ে পায়েচারি করার পর কিছুটা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এছাড়া থামাবার উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি.... ঠিক যেমন আবিষ্কৃত হয়নি ক্যাপ্টেন ফুয়াদের গতিরোধ করার উপায়। ৮০ তম বিএমএ লং কোর্সের তুখাড় ক্যাডেট ফুয়াদ আজ টাইগার্স ডেন খ্যাত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডো অফিসার, দুদ্ধর্ষ অফিসার সে। চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে সিয়েরা লিওনের বিদ্রোহী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই একটা নামেই বড় বেশি হতাশ হয়ে পড়ে, যুদ্ধক্ষেত্রে সে ক্ষুধার্ত ব্যাঘ্র, যেন পরাজয়ের সঙ্গা তার জানা নাই, সে যেন পিছু হটতে জানেনা। মুদ্রার অপর পিঠ ও রয়েছে তেমন... তাকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এই নরম সরম মানুষটা কি করে এত হিংস্র হয়ে ওঠে... ইউনিটে সবার প্রিয় আর আদিবাসী ভুক্তভোগীদের ভরসার পাত্র ক্যাপ্টেন ফুয়াদকে পিস মিশনে একবার এক বিদেশী সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছিল আপনি যেমন বুক দিয়ে এখান

এইতো ছিলাম বেশ

তখন আমার বয়স আশি লেগেই থাকে স্বর্দি কাশি তোমার মুখে সেই যে হাসি দেখতে বড় ভালোবাসি... জানো??  নাতনি টা ঠিক তোমার মত বড় ছেলে তে মেইল করেছে নাতি নাকি আড্ডাবাজা পরীক্ষাতে ফেল করেছে ছোট মেয়েটার নতুন জামায় দিতেই চায়না অফিস কামায় মেয়েটা ঠিক তোমারইই মত চোখ ফুলিয়ে কাঁদে কত... জামায় আমার পাগল পাগল তবু দায়িত্বে সদা অটল জানো..??? মেয়ে বেশ মানিয়ে নিয়েছে তোমার গুণই সব পেয়েছে জানো?? ছোট মেয়েটার ননদ নাকি সাক্ষাত যমদূত সারাক্ষণই গায়ে পড়ে খুঁজতে থাকে খুঁত মেয়ে আমার বেশ গোছালো ঘরে দিয়েছে রঙিন আলো জানো..??? ছেলেটাকে আমি দ্বিমত করিনি প্রেম করেছে যবে কে জানিতো বিয়ের পরে এত্তদূরে রবে? মেয়ের প্রেমটা টিকেনি জানো???? ঠিক তোমারই মত আমি তা বেশ মত দিয়েছি করিনি অমত ব্রত... ছেলেপক্ষ কি বলেছে শুনবে তুমি বল??? অমন লক্ষী মেয়ে নাকি মোর দেখতে ভারী কালো  আমি বললেম ঢের হয়েছে এবার তবে আসুন মেয়ে কেঁদে বলে " ওগো তুমি একটু এদিকে শুনবে??  আপনারা সব বসুন " জানো মেয়েটারর আমার ভারী লাজ আর অগাধ ধৈর্য্য ছিল সবকিছুরই মাথা খেয়ে সে আবার সুযোগ দিল.... ছেলে যখন মাথা নিচু করে বসেই থাকলো

পিচ ঢালা পথ.....

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হেড কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পায়ে হেঁটেই পেরোতে হবে ভেবে জয়েনিং লেটারের ফাইলটা পলিথিনে যত্ন করে মুড়িয়ে নিল নীল শার্ট পড়া ছেলেটা... ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে... আসতে আসতে বাড়ছে বৃষ্টির তেজ.... তর সইছেনা বলে রওনা দিল এর মাঝেই.... হঠাৎ ফোনটা কেঁপে উঠলো.... অসময়ের কিসের ম্যাসেজ ভেবে বিরক্তই হল... তবু কিসের এক কৌতুহলে বৃষ্টির মাঝেও ফোন বের করলো... অচেনা নাম্বার থেকে ম্যাসেজ " আজ আমার এ্যাংগেজমেন্ট... ভালো থেকো তুমি,আমাকে ক্ষমা করো " নাম্বার টা অচেনা নয়...চিরচেনা.... ৫ মাস আগে সেই ডিলিট করে দিয়েছে ফোনবুক থেকে... মেয়েটার নাম মিলি... ছেলেটা সারেক... একটু থেমে গেল সে... এরপর ম্যাসেজটা ডিলেট করে দিয়ে ফোন পকেটে রেখে আবার চলতে শুরু করলো.... বেশ দুই এক কিলোমিটার পথ.... অনেকটা গা ছাড়া ভাব নিয়েই হাঁটছে সারেক... আজ অনেকটা হাল্কা লাগছে তার.... পাগলি মেয়েটা ঠিক আজ থেকে তিন বছর আগে এই দিনটাতেই বৃষ্টিতে রাস্তার মধ্যে সারেককে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল বেশ অনেকক্ষণ.... সেই প্রথম জড়িয়ে ধরা.... সারেক বাহুতে শক্ত করে আবদ্ধ করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল মেয়েটার